Header Ads

Header ADS

রিভলবার ঠেকিয়ে মালিকানা দখলের অভিযোগে মাশরাফির বিরুদ্ধে মামলা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা রিভলবার ঠেকিয়ে জোর করে দখলের অভিযোগ উঠেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার বিরুদ্ধে। রাজধানীর পল্লবী থানায় এই মামলা দায়ের করেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের সাবেক মালিক সরোয়ার গোলাম চৌধুরী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম। মাশরাফি বিন মর্তুজা ছাড়াও আরো পাঁচজনকে প্রধান আসামি করে সরোয়ার গোলাম চৌধুরী বাদী হয়ে এই মামলা করেন। বাকি পাঁচজন হলেন, হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র, মোহাম্মদ ইমাম হাসান, কে এম রাসেল, বাবলু ও অজ্ঞাত পরিচয় একজন। 

criclinebd.com
ছবি:- ক্রিকলাইনবিডি
মামলার বাদী অভিযোগ করেন, মাশরাফির কার্যালয়ে বসে হেলাল বিন ইউসুফ নামে এক ব্যক্তি তার মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে জোরপূর্বক সিলেট স্ট্রাইকার্সের মূল ‘ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের’ মালিকানা কেড়ে নেন। এই মামলার প্রসঙ্গে কথা বলেছেন পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “এটা কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়, মাশরাফির বিরুদ্ধে এটা ব্যবসায়ীক মামলা করা হয়েছে। মাশরাফি মর্তুজাকে প্রধান আসামি করে দায়ের করা এই মামলায় আরও ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।”

আরও পড়ুনঃ- সাউথ আফ্রিকার বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত করেছে সিএসএ

এই বিষয়ে এজাহারে বলা হয়, রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক অপরিচিত এক কর্মকর্তা কোনো কিছু জিজ্ঞাসা না করেই সাক্ষর নিতে শুরু করেন সরোয়ার গোলাম চৌধুরী থেকে। এই বিষয়ে যাতে আর কারো সাথে কথা না বলেন সে ব্যাপারে হুমকি দিতে থাকেন হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র। এছাড়া মাশরাফির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের সাবেক মালিক সরোয়ার চৌধুরী। ২০২৩ সালে মাশরাফি ও তার লোকজন জোরপূর্বক সরোয়ারের কাছ থেকে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা শেয়ার নিয়ে নেন। বিনিময়ে অর্থ পরিশোধ না করে উল্টো প্রাণনাশের হুমকি দেন মাশরাফি এবং তার দলবল। 

২০২৩ সালে পথচলা শুরু করা সিলেট স্ট্রাইকার্স মাশরাফির নেতৃত্বে সেবারই ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। সেবারই আসর শেষ না হতে ফ্র‍্যাঞ্চাইজি নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ২০২৩ সালে সরোয়ার গোলাম চৌধুরীকে মাশরাফির কার্যালয়ে ডেকে এনে তার শেয়ারগুলো অন্যদের নামে লিখিয়ে নেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়াও সরোয়ারের পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে তার থেকে শেয়ার হস্তান্তর করে নেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সে সময়ে প্রাণ ভয়ে দেশ ছেড়ে চলে যান সরোয়ার। 

Blogger দ্বারা পরিচালিত.