Header Ads

Header ADS

নারী বিশ্বকাপে প্রাইজমানি বেড়েছে আগের চেয়ে তিন গুণ বেশি।

ক্রিকেটে পুরুষদের সাথে সমানতালে ক্রিকেট খেললেও যেকোনো আইসিসি ইভেন্টে সুযোগ-সুবিধা কম পায় নারী ক্রিকেটাররা। এই বৈষম্য কাটাতে বেশ আগে থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আগামী মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবে মেয়েদের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপে ছেলেদের আসরের সমান প্রাইজমানি দেবে আইসিসি, যা আগের আসরের চাইতে এবারের তিন গুণ বেশি। মূলত মেয়েদের উন্নতির দিক চিন্তা করে এই পরিকল্পনা করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। সম্প্রতি আইসিসির পক্ষ থেকে এমন সিদ্বান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

criclinebd.com
ছবি:- ক্রিকলাইনবিডি
নারীদের এই নবম সংস্করণ আসরে প্রাইজমানি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স দলের জন্য ধরা হয়েছে ২.৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২৮ কোটি টাকা, যা আগের তুলনায় শতাংশের হিসাবে ১৩৪ গুণ বেশি। এর আগের আসরে অর্থাৎ ২০২৩ টি২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন্স দল অস্ট্রেলিয়া পেয়েছিলো ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন্স প্রাইজমানি থেকেও বেশি থাকছে এবারের আসরের রানার্সআপের প্রাইজমানি। এই আসরে নারী টি২০ বিশ্বকাপের রানার্সআপ দল পাবেন ১.১৭ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি টাকা।

আরও পড়ুনঃ- এবার সাকিব-তামিমকে দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্রের সিক্সটি স্ট্রাইক্স টুর্নামেন্টে।

এই ইভেন্টে শুধুমাত্র পুরুষ্কারের পিছনে আইসিসির খরচ হবে ৭.৯৫ মিলিয়ন ডলার বা ৯৫ কোটি টাকা। এই বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে প্রতিটি জয়ের জন্য নিগার সুলতানা জৌতিরা পাবেন ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার বা ৩৭ লক্ষ টাকা করে। তবে গ্রুপ পর্বে কোনো ম্যাচ না জিতলেও নির্দিষ্ট একটি অ্যামাউন্টের পুরুষ্কার থাকছে প্রতিটা দলের জন্য। ২০৩২ সালের মধ্যে নারী ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ করতে চাই আইসিসি।

তার ধারাবাহিকতায় নারীদের প্রাইজমানি বাড়িয়েছেন আইসিসি। নারী টি২০ বিশ্বকাপের নবম সংস্করণের আসর বাংলাদেশে হওয়ার কথা থাকলেও দেশের পরিস্থিতির বিবেচনায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্থানান্তর করেছে আইসিসি। তবে, আরব আমিরাতে এই আসর হলেও আয়োজনের অধিকার থাকছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের হাতে। এবারের আসরে অংশগ্রহণ করছে মোট ১০ দল। আগামী ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ বনাম স্কটল্যান্ড নারী দলের উদ্বোধনী ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এবারের আসর।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.