Header Ads

Header ADS

মাশরাফির বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ মিথ্যা বলছেন সিলেট স্ট্রাইকার্স।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা জোর করে দখল নেয়ার অভিযোগ উঠে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার বিরুদ্ধে। রাজধানী ঢাকার পল্লবী থানায় মাশরাফির বিরুদ্ধে মামলা করেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের সাবেক মালিক সরোয়ার গোলাম চৌধুরী। সরোয়ার গোলাম চৌধুরী অভিযোগ করেন তাকে মাশরাফি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে জোরপূর্বক তার কাছ থেকে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানার শেয়ার নিয়ে নেওয়া হয়। 

criclinebd.com
ছবি:- ক্রিকলাইনবিডি
এবং এই বিষয়টি গোপন রাখার জন্য তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন মাশরাফি ও তার দলের লোকজন। মাশরাফিকে প্রধান আসামি করে আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সরোয়ার। এদিকে মাশরাফির বিরুদ্ধে মামলার খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর-পরই শোরগোল শুরু হয়। এই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ভেরিফাইড করা ফেসবুক পেইজে মাশরাফির বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং দেশের এই পরিস্থিতিতে কেউ কেউ ব্যক্তিগত উদ্দ্যেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

আরও পড়ুনঃ- রিভলবার ঠেকিয়ে মালিকানা দখলের অভিযোগে মাশরাফির বিরুদ্ধে মামলা

তারা আরও জানিয়েছেন অভিযোগকারী সরোয়ার গোলাম চৌধুরী প্রথম আসর শেষে ক্রিকেটার, ম্যানেজমেন্ট, ও সদস্যদের পারিশ্রমিক খরচের পালা আসে তখন সরোয়ারকে পিছু হাটতে দেখা গেছে৷ অনেক ক্রিকেটার ম্যানেজমেন্ট সদস্যদের পারিশ্রমিক বাকি রেখে তিনি যুক্তরাষ্ট্র চলে যান৷ সরোয়ার গোলাম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে আশ্বাস দেয়ার পরেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি তিনি। সিলেট স্ট্রাইকার্সের পেজ থেকে আরো জানা যায়, সরোয়ার গোলাম চৌধুরী শেষ পর্যন্ত পাওনা টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তিনি নিজ থেকে স্বত্বাধিকার মালিকানা ছেড়ে দেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও (বিসিবি) নিজের সরে যাওয়ার বিষয়ে ই-মেইল করে জানিয়েছেন তিনি।

ফেসবুকে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ভেরিফাইড পেজের পোস্টে জানান, “সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানার এক শতাংশও মাশরাফির কাছে ছিল না, এখনো নেই। জোর করে মালিকানা লিখে নেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। সিলেট স্ট্রাইকার্সের ৬০ শতাংশের মালিকানা ছিল সারোয়ার গোলাম চৌধুরীর। সহ-স্বত্বাধিকারীদের সঙ্গে সক্রিয় হয়ে তিনি কাজ করছিলেন। কিন্তু যখন ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক থেকে শুরু করে অন্যান্য খরচের পালা আসে, ক্রমে তাকে পিছু হটতে দেখা যায়। অনেক ক্রিকেটার ও ম্যানেজমেন্টের কয়েকজন সদস্যের পারিশ্রমিক, পরিচলন খরচ ও আরও বিভিন্ন খাতে তার অংশের কয়েক কোটি টাকা বাকি রেখেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। তার সঙ্গে যোগাযাগ করা হলে বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও কোনো পদক্ষেপ তিনি নেননি। শেষ পর্যন্ত পাওনা টাকা শোধ করতে না পেরে গত বছরের আগস্টে তিনি নিজ থেকেই অন্যান্য স্বত্বাধিকারীর ওপর মালিকানা ছেড়ে দেন। বিসিবিকেও তিনি ই-মেইল দিয়ে নিজের সরে যাওয়ার কথা জানান।”

Blogger দ্বারা পরিচালিত.